Sunday, June 15, 2025

হামাসের দুর্ধর্ষ সামরিক শাখা ’কাসাম’ তাণ্ডবে ভূমিকম্প দেখল ইসরায়েলি বাহিনী

আরও পড়ুন

ফিলিস্তিনের গাজার ধূসর জনপদ এখন রক্তাক্ত রণাঙ্গনে পরিণত হয়েছে, যা ইসরায়েলি সেনাদের জন্য এক ভয়ঙ্কর অগ্নিপরীক্ষা। সেখানে দখলদার ইসরায়েলি বাহিনীর বিরুদ্ধে দুর্ধর্ষ লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে হামাসের সামরিক শাখা, আল কাসাম ব্রিগেডের যোদ্ধারা।

ইসরায়েলের অত্যাধুনিক ট্যাংক ও বিমান বাহিনীর দাপটের বিপরীতে গেরিলা যুদ্ধকৌশলকে প্রধান হাতিয়ার বানিয়ে নিজেদের ভূমি রক্ষা করছে তারা। গাজার প্রতিটি অলিগলি, ধ্বংসস্তূপ আর টানেলজুড়ে আল কাসাম যোদ্ধারা পেতে রেখেছে মৃত্যু ফাঁদ। রাতের আঁধার কিংবা দিনের আলোয় তাদের অতর্কিত হামলা ইসরায়েলি সেনাদের মনোবল ভেঙে দিচ্ছে।

আরও পড়ুনঃ  ড. ইউনূসকে উদ্দেশ করে টিউলিপ, পার্লামেন্টে এসে দেখা করুন, চলুন কথা বলি

বিগত কয়েকদিন ধরে গাজার অবরুদ্ধ এলাকায় ইসরায়েলি সেনাদের সঙ্গে আল কাসামের তীব্র লড়াই চলছে। আধুনিক সমরাস্ত্রের মুখোমুখি হলেও বুক চিতিয়ে মাতৃভূমি রক্ষার লড়াইয়ে পিছপা হচ্ছেন না প্রতিরোধ যোদ্ধারা। প্রাণের বিনিময়েও তাঁরা এক ইঞ্চি মাটিও ছাড়তে নারাজ।

গাজার দক্ষিণে অবস্থিত খান ইউনিস বর্তমানে যুদ্ধের হটস্পটে পরিণত হয়েছে। আল কাসাম যোদ্ধাদের অতর্কিত হামলা এবং পেতে রাখা বোমা বিস্ফোরণে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির মুখে পড়েছে ইসরায়েলি বাহিনী। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, রবিবারও সেখানে তীব্র লড়াই হয়। সংঘর্ষের পর আহত ইসরায়েলি সেনাদের হেলিকপ্টারে সরিয়ে নিতে দেখা যায়, যা ইসরায়েলের বিপর্যয়ের প্রমাণ বহন করে।

আরও পড়ুনঃ  ভারতে আটক ৬ বাংলাদেশিকে হস্তান্তর করল বিএসএফ

ইসরায়েলি গণমাধ্যম জানিয়েছে, খান ইউনিসে পেতে রাখা বোমা বিস্ফোরণে অন্তত ১২ জন ইসরায়েলি সেনাকে সরিয়ে নেওয়া হয়, যাদের অধিকাংশই এলিট ফোর্সের সদস্য। এই হতাহতের ঘটনা গোপন রাখতে চেয়েছিল ইসরায়েলি বাহিনী।

এদিকে হামাসের সামরিক শাখা জানায়, খান ইউনিসের দক্ষিণের আল মানারা এলাকায় একটি ইসরায়েলি সামরিক বুলডোজারকে টার্গেট করে হামলা চালানো হয়েছে। যদিও ক্ষয়ক্ষতির বিস্তারিত তথ্য প্রকাশ করেনি গোষ্ঠীটি।

রবিবার এক বিবৃতিতে হামাস জানায়, তারা প্রতিদিন নতুন কৌশলে যুদ্ধ পরিচালনা করছে, যা ইসরায়েলি বাহিনীকে বিপাকে ফেলছে। এছাড়া ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহুর “সম্পূর্ণ বিজয়” দাবি সম্পর্কে তারা বলে—এটি কেবল ভ্রান্ত কল্পনা।

আরও পড়ুনঃ  বিশ্ব ইজতেমার দ্বিতীয় পর্বের সময়সূচি ঘোষণা

হামাস আরও হুঁশিয়ারি দিয়ে জানায়, ইসরায়েলের চলমান আগ্রাসন গাজায় বন্দি থাকা জিম্মিদের ভবিষ্যৎ আরও অনিশ্চিত করে তুলছে। জিম্মিদের মুক্তির একমাত্র পথ একটি পূর্ণাঙ্গ যুদ্ধবিরতি চুক্তি, যেখানে নেতানিয়াহু বারবার গড়িমসি করছেন।

গাজা যুদ্ধ দীর্ঘায়িত করার মাধ্যমে নেতানিয়াহু নিজের রাজনৈতিক পতন ত্বরান্বিত করছেন বলেও মন্তব্য করেছে হামাস

আপনার মতামত লিখুনঃ

সর্বশেষ সংবাদ