Sunday, June 15, 2025

গাজীপুরে মসজিদের মাইকে ঘোষণা দিয়ে হামলা, ফেসবুকে যা লিখলেন সারজিস আলম

আরও পড়ুন

গাজীপুর মহানগরীতে সাবেক মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হকের বাড়িতে ভাঙচুরের পর অগ্নিসংযোগের চেষ্টার ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় কমপক্ষে ১৫ জনকে ডাকাত সন্দেহে পিটিয়ে আহত করেছেন স্থানীয়রা। তবে আহতদের নাম ও পরিচয় জানাতে পারেনি পুলিশ।

বিষয়টি নিয়ে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন জাতীয় নাগরিক কমিটির মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম।

শুক্রবার (৭ জানুয়ারি) দিবাগত রাত ২টা ১৩ মিনিটে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক অ্যাকাউন্টে তিনি লেখেন, ‘গাজীপুরে আজকেই হবে আওয়ামী সন্ত্রাসীদের শেষ দিন। আমরা আসছি…।’

আরও পড়ুনঃ  আওয়ামী লীগের নতুন দায়িত্ব পেলেন নানক এবং বাহাউদ্দিন নাসিম!

জানা গেছে, শুক্রবার (৭ ফেব্রুয়ারি) আনুমানিক রাত ১০টায় গাজীপুর মহানগরীর ৩১ নম্বর ওয়ার্ড ধীরাশ্রম দক্ষিণখানে সাবেক মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী ও গাজীপুর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আ ক ম মোজাম্মেল হকের বাড়িতে হামলার ঘটনা ঘটে। এদিন রাতে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের ছাত্র-জনতার নামে ১০০-১৫০ জন ওই বাড়িতে ব্যাপক ভাঙচুর করতে থাকেন এবং অগ্নিসংযোগের চেষ্টা চালান।

এ সময় গ্রামে ডাকাত হামলা চালিয়েছে বলে স্থানীয়রা ডাকচিৎকার শুরু করেন। ডাকাতির খবর পার্শ্ববর্তী মসজিদের মাইকে ঘোষণা দেওয়া হলে গ্রামবাসীরা লাঠিসোঁটা নিয়ে বেরিয়ে আসেন এবং সংঘবদ্ধ হয়ে হামলাকারীদের ধাওয়া করেন। ধাওয়া খেয়ে হামলাকারীরা পালিয়ে যাওয়ার সময় ১৬-১৭ জনকে আটক করে পিটুনি দেয় গ্রামবাসী। এতে আহত হন তারা।

আরও পড়ুনঃ  আওয়ামী লীগের কর্মীদের বিশেষ ট্রেনিং দেওয়ার সাবেক মেয়র জাহাঙ্গীরের বিশেষ ফোন কল ফাঁস

খবর পেয়ে পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন এবং গুরুতর আহত ১৫ জনকে উদ্ধার করে শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন। পরে ৫ জনের অবস্থা গুরুতর হলে তাদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়।

এ বিষয়ে গাজীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আরিফুর রহমান জানান, সাবেক মন্ত্রী মোজাম্মেল হকের বাড়ি ভাঙচুর করতে গেলে স্থানীয়দের হামলায় অন্তত ১৪-১৫ জন আহত হয়েছেন। খবর পেয়ে পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। রাত ১টায় পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়েছে।

আপনার মতামত লিখুনঃ

সর্বশেষ সংবাদ