বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সময়ে জ্বালানি তেলের মূল্য কয়েক দফায় কমানো হলেও বাস ও গণপরিবহনের ভাড়া কমানো হয়নি—এমন অভিযোগ এনে ভাড়া কমানোর দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতি।
রোববার (১ জুন) বিকেলে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে সংগঠনের কার্যকরী কমিটির চেয়ারম্যান ড. মোহাম্মদ জকরিয়া ও মহাসচিব মো. মোজাম্মেল হক চৌধুরী এই দাবি জানান।
এতে বলা হয়, ‘বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেলের দাম এখন নিম্নমুখী। ফলে দেশের বাজারেও প্রতিমাসে তেলের দাম কখনো ১ টাকা, কখনো ৩ টাকা করে কমছে। কিন্তু তার কোনো প্রভাব বাস ভাড়ায় পড়ছে না। এতে সাধারণ মানুষ জ্বালানি তেলের দাম কমার সুফল থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।’
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ‘জ্বালানি তেলের মূল্য বাড়লেই বাস মালিকরা সরকারকে তোয়াক্কা না করেই ভাড়া বাড়িয়ে দেয়। অথচ দাম কমার সময় ভাড়া কমানোর ক্ষেত্রে তারা নানান অজুহাত দেখায়।’
সংগঠনটির মতে, গণপরিবহনে সরকারের বেঁধে দেওয়া ভাড়া ও মাঠে আদায় করা ভাড়ার মধ্যে বিরাট ফারাক রয়েছে। এর পেছনে অন্যতম কারণ হিসেবে যাত্রী কল্যাণ সমিতি সরকারের ভাড়া নির্ধারণ কমিটিতে যাত্রীদের কোনো প্রতিনিধিত্ব না থাকাকে দায়ী করে।
বিবৃতিতে বলা হয়, ‘বাস ও গণপরিবহনের ভাড়া নির্ধারণে মালিক সমিতি ও শ্রমিক সংগঠনের পাশাপাশি যাত্রী কল্যাণ সমিতির প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করতে হবে। এছাড়া ভাড়া বাড়ানো ও কমানোর পূর্ণাঙ্গ তালিকা বাস মালিক সমিতি, শ্রমিক ফেডারেশন ও যাত্রী কল্যাণ সমিতিকে দেওয়ারও দাবি জানাচ্ছি।’
বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতির মতে, স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতার স্বার্থে যাত্রী প্রতিনিধিত্ব এখন সময়ের দাবি।