জানা গেছে, জেলার ইসলামপুর উপজেলার সাপধরীর ইউনিয়নের মন্ডলপাড়া, নোয়ারপাড়া ইউনিয়নের রামভদ্রা, সরিষাবাড়ি উপজেলার বলারদিয়া, বাউসী, সাতপোয়া, পুঠিয়ারপাড়, পঞ্চপীর, সাঞ্চারপাড়, পাখাডুবি, বনগ্রাম, বালিয়া,বগারপাড়, হোসনাবাদ, পাটাবুগাসহ ২০ গ্রামের মানুষ আজ ঈদুল আজহা ও কুরবানি আদায় করছে।
একটি গ্রামে মানুষ না হওয়ায় বিভিন্ন গ্রামের মানুষ একটি ঈদগাহে সমবেত হয়ে ঈদ উদযাপন করছেন। তবে ওই ২০টি গ্রামের মানুষদের মধ্যে আজ কিছু অংশ ঈদ উদযাপন করলেও বেশিরভাগ মানুষ প্রচলিত নিয়ম অনুযায়ী আগামীকাল ঈদের নামাজ ও কোরবানি আদায় করবেন।
নোয়ারপাড়া ইউনিয়নের সালেক মিয়া ঢাকা পোস্টকে বলেন, মহান আল্লাহকে খুশি করার জন্য ঈদের নামজের পর কুরবানি করছি। কেউ আমাদের বিরোধিতা করে আবার অনেকে সমর্থনও করে। আগের দিন ঈদ করার জন্য শুরুতে মানুষ নানা প্রকার কথা বলতো।
তারতাপাড়া গ্রামের শফিউল ইসলাম বলেন, সৌদির সাথে ঈদ করতে আমাদের অনেক আনন্দ লাগে। অনেক দিন থেকে সৌদির সঙ্গে মিল রেখে ঈদের নামাজ ও কোরবানি আদায় করি। আগে মানুষ কম হতো, এখন দিন দিন মানুষ বাড়ছে।
ইসলামপুর উপজেলার নোয়ারপাড়া ইউনিয়নের রামভাদ্রা ঈদগাহ মাঠের ইমাম মাওলানা মো. ইয়াকুব আলী ঢাকা পোস্টকে জানান, এখনো সমাজের অনেক মানুষ আগের দিনের নিয়ম ধরে রেখেছে। পৃথিবীতে চাঁদ একটাই। চাঁদ একই দিনে ওঠে। সেই সূত্রে আমরা ঈদুল আজহার নামাজ শেষে কুরবানি আদায় করছি।
জামালপুরের পুলিশ সুপার সৈয়দ রফিকুল ইসলাম ঢাকা পোস্টকে জানান, জেলার কয়েকটি গ্রামে সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে শান্তিপূর্ণ পরিবেশে পবিত্র ঈদুল আজহা পালিত হচ্ছে। সংঘাত এড়াতে গোয়েন্দা তৎপরতা বাড়ানো ও পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে