গাজায় আগ্রাসন রুখতে এবার একত্রিত হয়ে ইসরাইলকে মোকাবেলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইরান ও পাকিস্তান। ইসলামিক ঐক্য গড়ে তুলতে ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনির সঙ্গে আলোচনা করেছেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ।
ইরানের সরকারি বার্তা সংস্থা ইরনার উদ্ধৃতি দিয়ে তেহরান থেকে এএফপি এই খবর জানিয়েছে।
চলতি বছরের শুরুতে পাকিস্তানের বেলুচিস্তানে হামলা চালায় ইরান, যেখানে ‘সন্ত্রাসী আস্তানা’ লক্ষ্য করে হামলার দাবি করা হয়। ওই ঘটনার পর দুই দেশের মধ্যে উত্তেজনা বৃদ্ধি পায় এবং কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্নের হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়। তবে সম্প্রতি ভারত-পাকিস্তান দ্বন্দ্বের প্রেক্ষিতে দুই দেশের মধ্যে সমঝোতার বিষয়ে আলোচনা শুরু হয়েছে।
শেহবাজ তেহরান সফরে গিয়ে প্রথমে ইরানের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। বৈঠক শেষে এক যৌথ সংবাদ সম্মেলনে তিনি জানান, পাকিস্তান ইরানের শান্তিপূর্ণ পরমাণু কর্মসূচিতে পূর্ণ সমর্থন দেবে। এছাড়া, ইরান-পাকিস্তান সীমান্তে সন্ত্রাসবাদ রোধে যৌথ পদক্ষেপের আহ্বান জানান তিনি।
পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী উল্লেখ করেন, ইসলামাবাদ তেহরানের বিরুদ্ধে তাদের ভূখণ্ড ব্যবহারের অনুমতি কখনোই দেবে না। সংবাদ সম্মেলনে ইরানি প্রেসিডেন্ট বলেন, গাজায় চলমান গণহত্যা বন্ধে পশ্চিমা বিশ্বের নির্লজ্জ নীরবতার বিরুদ্ধে এবং ফিলিস্তিনি জনগণের পক্ষে পাকিস্তান ও ইরান একত্রিত।
শেহবাজ খামেনির সঙ্গে বৈঠকে জানান, পাকিস্তান মুসলিম বিশ্বের মধ্যে ইসরাইল বিরোধী অবস্থানে অবিচল রয়েছে। তিনি গাজায় ৫৪ হাজার মানুষের নিহত হওয়ার ঘটনাকে আন্তর্জাতিক মানবতার জন্য একটি ‘গভীর কলঙ্ক’ আখ্যা দেন।
জবাবে খামেনি বলেন, ইরান ও পাকিস্তান যৌথভাবে কাজ করলে গাজায় ইসরাইলি অপরাধ বন্ধে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ সম্ভব। তিনি সীমান্ত নিরাপত্তা, সন্ত্রাসবিরোধী সহযোগিতা এবং ইকো সংস্কার সক্রিয়তা বৃদ্ধিতে পাকিস্তানকে একসঙ্গে কাজ করার আহ্বান জানান।
শেহবাজ ও খামেনির বৈঠকে দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য তিন বিলিয়ন ডলার থেকে বাড়িয়ে ১০ বিলিয়ন ডলার করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।