Thursday, August 7, 2025

জমি কিনে দেওয়ার কথা বলে টাকা নিয়ে হাওয়া পুলিশ কনস্টেবল, দাবি ভুক্তভোগীদের

আরও পড়ুন

গ্রামের জমির বিনিময়ে খুলনা শহরে জমি কিনে দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে তেরখাদা উপজেলার চরপাতলা গ্রামের মানুষদের কাছে টাকা নিয়েছেন পুলিশ কনস্টেবল মোল্লা রহমত উল্লাহ। কয়েকজনের জমি নিজের ও স্ত্রীর নামে লিখেও নিয়েছেন।

কিন্তু শহরে জমি কিনে না দিয়ে সেই টাকা নিয়ে ঢাকার কেরানীগঞ্জ থানায় বদলি হয়ে গেছেন তিনি। টাকা পেতে ওই পুলিশ কনস্টেবলের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করেছেন ভুক্তভোগীরা। তারপরও টাকা আদায় করতে পারছেন না তারা।

আজ বুধবার খুলনা প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে এসব অভিযোগ করেন তেরখাদা উপজেলার চরপাতলা গ্রামের ফিরোজা বেগম। এ সময় তার সঙ্গে আরও দু’জন ভুক্তভোগী উপস্থিত ছিলেন।

আরও পড়ুনঃ  ধেয়ে আসছে শক্তিশালী বৃষ্টিবলয় ‘ঝুমুল’, সক্রিয় থাকবে কতদিন?

অভিযুক্ত মোল্লা রহমত উল্লাহ (কং/১৮৫১) দীর্ঘদিন খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশে কর্মরত ছিলেন। ওই সময় জমি কেনাবেচার ঘটনা ঘটে। বর্তমানে তিনি কেরানীগঞ্জ থানার কলাটিয়া ফাঁড়িতে কর্মরত। ভুক্তভোগীদের সঙ্গে পরিচয়ের বিষয়টি স্বীকার করলেও অর্থ লেনদেনের বিষয়টি অস্বীকার করেছেন তিনি।

সংবাদ সম্মেলনে ভুক্তভোগী আবু তালেব মোড়ল জানান, চাকরির পাশাপাশি মোল্লা রহমত উল্লাহ জমি কেনাবেচার কাজ করতেন। গ্রামের জমির পরিবর্তে খুলনার ডুমুরিয়া থানার চক আহসান খালী মৌজায় তার স্ত্রীর নামে থাকা ২ দশমিক ০১ একর জমি কেনার জন্য আমাদের প্রস্তাব দেন রহমত।

আরও পড়ুনঃ  হেফাজত ও চরমোনাইকে নিয়ে বিশেষ অনুরোধ করলেন পিনাকী

জমি কিনতে কয়েকটি ধাপে ৩৮ লাখ ৬৭ হাজার টাকা নেন এবং চরপাতলা গ্রামের বাড়িতে থাকা আমার ২ বিঘা জমিও মোল্লা রহমত উল্লাহ এবং তার স্ত্রী সুচরিতার নামে লিখে নেন। কিছুদিন পরে আমরা জানতে পারি চক আহসান খালী মৌজায় তার কোনো জমি নেই।

তিনি আরও বলেন, একইভাবে আমার বৌমা আকাশী খাতুনকে খুলনা নগরীতে জমি কিনে দেওয়ার কথা বলে ১২ লাখ ৩ হাজার টাকা নিয়েছে। তাকেও চক আহসান খালী মৌজায় দশ শতক জমি কিনে দেওয়ার কথা ছিল।

প্রতারণার বিষয়টি বুঝতে পেরে ওই পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে গতবছর খুলনার মুখ্য মহানগর হাকিমের আদালতে সিআর ২৮৯/২৪ মামলা দায়ের করি। মামলা তুলে নিতে সে আওয়ামী লীগের লোকজন দিয়ে আমাদের হুমকি দিতেন।

আরও পড়ুনঃ  খুলনায় বিএনপির সম্মেলন ২৪ ফেব্রুয়ারি, প্রধান অতিথি তারেক রহমান

এ ব্যাপারে পুলিশ কনস্টেবল মোল্লা রহমত উল্লাহ বলেন, ‘আবু তালেব ও ফিরোজা বেগম আমার কাছে তাদের জমি বিক্রির প্রস্তাব দেন। দাম কম দেখে কিছু জমি আমার এবং কিছু স্ত্রীর নামে কিনি। সড়কের পাশের জমি দাম এখন কয়েকগুণ বেড়ে গেছে। এখন তারা জমি ফেরত চাইছেন। জমি ফেরত না দেওয়ায় তারা মিথ্যা তথ্য দিচ্ছেন

আপনার মতামত লিখুনঃ

সর্বশেষ সংবাদ